পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংস জানিয়েছেন, ঈশ্বর কণার খোঁজ পাওয়ায় তিনি
নাখোশ হয়েছেন। কিন্তু কেনো? সম্প্রতি তার ব্যাখাও দিয়েছেন তিনি।
কবে
দেখা মিলবে ঈশ্বর কণার? দীর্ঘদিন ধরেই গবেষকেরা খুঁজে ফিরেছেন এর উত্তর।
যতদিন এই প্রশ্নের উত্তর জানা ছিল না ততদিনই পদার্থবিজ্ঞান ছিল আকর্ষণীয়।
কিন্তু ২০১২ সালে পদার্থবিজ্ঞানীরা ঘোষণা দিলেন যে, তাঁরা হিগস-বোসন কণা বা
ঈশ্বর কণার দেখা পেয়েছেন। এ বছর হিগস-বোসন কণার আবিষ্কারের জন্য
বিজ্ঞানীরা নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন। তবে পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং
সম্প্রতি লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়ামে দাবি করেছেন যে, ঈশ্বর কণার আবিষ্কার
পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গবেষকেদের আকর্ষণ কমিয়ে দেবে। ডেইলি মেইলের এক
প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্টিফেন হকিং জানিয়েছেন, এ সময়ে
পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হিসেবে হিগস-বোসনকে ব্যাখা দেওয়া হলেও
তিনি এ আবিষ্কারে খুশি হতে পারেননি। তাঁর মতে, এই কণা আবিষ্কারের ফলে
পদার্থবিজ্ঞানের সব আকর্ষণ ফুরিয়ে যাবে। অবশ্য, তাঁর নাখোশ হওয়ার আরেকটি
কারণ হতে পারে বাজিতে হেরে যাওয়া। হকিংস তাঁর বন্ধুর সঙ্গে ১০০ ডলারের বাজি
ধরে বলেছিলেন কখনও ঈশ্বর কণার খোঁজ পাওয়া যাবে না। কিন্তু বাজিতে তিনি
হেরে যান।
‘হিগস-বোসন’ নিয়ে গবেষণার জন্য এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে
নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের পিটার হিগস ও বেলজিয়ামের ফ্রাঙ্কোইস
অ্যাংলার্ট। ষাটের দশকে যুক্তরাজ্যের গবেষক পিটার হিগসসহ বেশ কয়েকজন
বিজ্ঞানী পদার্থের ভর সৃষ্টিকারী অতিক্ষুদ্র একটি কণার সম্ভাবনার কথা বলেন,
যা হিগস-বোসন কণা হিসেবে পরিচিতি পায়। বোসন কণার সঙ্গে বাঙালি বিজ্ঞানী
সত্যেন বসুর নাম জড়িয়ে রয়েছে। এটি ‘ঈশ্বর কণা’ নামেও পরিচিতি পেয়েছে। এই
কণাটি পদার্থবিজ্ঞানে গবেষকেদের দীর্ঘদিন আকর্ষণ ধরে রেখেছিল। হিগস ও
অ্যাংলার্টের তত্ত্ব অনুযায়ী, ২০১২ সালে সুইজারল্যান্ডের গবেষণাকেন্দ্র
সার্নে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডরে হিগস-বোসন কণার অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া
যায়।
সম্প্রতি লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়াম কোলাইডর প্রদর্শনী নামে হিসগ বোসন
কণা আবিষ্কারের পেছনের দৃশ্যগুলো নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। এখানে
অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে পদার্থবিদ্যার আকর্ষণ কমে আসতে পারে এমন আশঙ্কার কথা
বললেন ৭১ বছর বয়সী এ বিজ্ঞানী।