আমি গল্পের বই পড়া
তেমন পছন্দ করতাম না, তাই গল্পের বই আমার দ্বারা পড়া হয় নাই। আজ একটা গল্প
লিখলাম, বাস্তব গল্প। গল্পটা আমার খুব কাছের বন্ধু কে নিয়ে তার নাম সাগর ।
সে একটি মেয়েকে ভালবাসত, মেয়েটির নাম মীম। প্রথম দেখার পর সে মীমকে খুব
পছন্দ করে ফেলে, বলা যায় সে তার প্রেমে পড়ে গেছে। কিন্তু সাগর সে তার
ভালবাসার কথা প্রথমে মিম কে বলেনি কারণ যদি মীম তাকে ফিরিয়ে দেয় তাই, এক
পর্যায়ে সাগর আর মীম এর মধ্যে খুব ভাল একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ঊঠে।
তাদের এই সম্পর্কে দেখে তাদের বন্ধুরা বুঝতে পারে তাদের মধ্যে প্রেম হয়ে
গেছে, কিন্তু তাদের মধ্যে তখন ও প্রেমের সম্পর্ক হয় নাই। এই ভাবেই তাদের
দিন চলতে থাকে। তাদের মধ্যে কথা হত প্রতিদিন এমন কি তারা ক্লাস থেকে ফিরে ও
সারাদিন কথা বলত ফোনে। তখন মীম এর কোন মোবাইল ছিলনা, সে তার মামীর নাম্বার
থেকে তাকে ফোন করত। এক পর্যায়ে মীম তার বাবার নাম্বার থেকেও ফোন করা শুরু
করে। এক পর্যায়ে মীম এর বাবার সাথে ও সাগরের পরিচয় হয়। মীম এর বাবা ও সাগর
কে খুব ভালবাসত। আস্তে আস্ত মীম এর মা,ভাই-বোন এর সাথে ও তার পরিচয় হয়ে
যায়। আর হে এর মধ্যে তাদের মধ্যে প্রেমের অধ্যায়টা শুরু হয়ে যায়। তাদের
প্রেমের প্রথম এবং প্রধান শর্ত ছিল “তাদের এই সম্পর্কের কথা কেউ জানবে না। এমন কি তাদের কছের বন্ধুরা ও না” এইভাবে
তাদের দিন কাল চলতে থাকে। বছর দুয়েক পরের কথা তখন সাগর আর মীম ঢাকায়
লেখা-পড়া করে। একদিন মীম সাগর কে ফোন করে তাকে বলে সে সাগরের সাথে আর
সম্পর্ক রাখতে চায়না, সাগর তার কাছে কারন জানতে চায়, তখন মীম বলে দেখ আমি
তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি কিন্তু আমার বাড়ি থেকে ফোন এসেছে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে
গেছে আমি আমার মা-বাবার মতের বিরোদ্ধে যেতে পারব না। কিন্তু এই কথা টা ছিল
মীম এর বানানো গল্প, সত্যটা হল এর আগের দিন মীম একটা ছেলের সাথে দেখা করে,
এই ছেলেটির সাথে মীম এর ফোনে পরিচয় হয়। ছেলেটির সাথে দেখা করে আসার পরের
দিন মীম সাগরকে ফোন করে বলে তার সাথে সম্পর্কে রাখতে চায় না। মীম সাগরকে
অনেক বুঝিয়ে বলে যে আমরা সারা জীবন ভাল বন্ধু হয়ে থাকব। তার পর থেকে তারা
বন্ধুর মত চলা ফেরা করে । পরে একদিন সাগরের এক বন্ধু তাকে বলল যে সে মীম এর
কাছ থকে শুনেছে যে , সে সাগর কে ভালবাসে কিছু সার্থের জন্য। যখন সাগর সেই
ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে জানতে পারল সেদিন তার আর কিছু করার ছিল না। মীম ও
সাগরের একটা ভাল ফ্রেন্ড ছিল লিজা। লিজা তাদের এই সম্পর্কের সব কিছু জানত,
লিজা সাগর কে মাঝে মধ্যে একটা কথা বলত সাগর আমার মনে হয় তুই ভুল করচিস মীম
তোকে ভালবাসে না, সে তোর সাথে অভিনয় করে যাচ্ছে। পরে মীম এর সকল অপকর্কের
খবর সাগর লিজার কাছ থেকে পায়। তারপরে ও সাগর মীম কে নিয়ে স্বপ্ন দেখত।
তাদের মধ্যে তখন ও কথা বার্তা হত। কিন্তু আজ থেকে প্রায় ৮ মাস আগে মীম সাগর
কে ফোন করেছিল তাদের মধ্যে কথা-বার্তা হয়, কারব বশত সে দিন তাদের মধ্যে
ফোনে কথা বলার সময় মন কষাকষি হয়, এর পর থেকে মীম আর সাগরে মধ্যে কোনদিন কথা
হয়নি। সাগর মাঝে একবার মীম এর সাথে যোগযোগ করতে চেয়ে ছিল। কিন্ত মীম এর
ফোন সে দিন বন্ধ ছিল। সাগর পরে জানতে পারে মীম এখন নতুন নাম্বার ব্যবহার
করে। একদিন সাগরে এক বন্ধু তাকে ফোন করে বলল যে মীম এর বিয়ে হয়ে গেছে। এই
খবর টা দেয়ার পরে সাগর তার বন্ধু কে বলল যে একটা খুশির খবর দিলে, তখন তার
বন্ধু বলল তাহলে মিষ্ট খাওয়া। সাগর সেই বিষয় টা বিশ্বাস করতে পারেনি, কারণ
সাগর তখব ও মীম কে পাগলের মত ভালবাসত এবং তাকে নিয়ে স্বপ দেখত। কিন্তু তার
ভালবাসার সকল স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।
অনেক দিন সাগর মানুষিক ভাবে অসুস্থ ছিল। সুস্থ হয়ে সাগর তার নিজের কেরিয়ার কে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে, এখন সে একজন বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ার।