Welcome to Onlinetunes24 .....

We are committed to become your long-term, trusted partner. Our priority is not only to provide professional services and solutions but to become your IT vendor dedicated to meet your needs today and support your growing business needs tomorrow.

This is default featured post 1 title

We are committed to become your long-term, trusted partner. Our priority is not only to provide professional services and solutions but to become your IT vendor dedicated to meet your needs today and support your growing business needs tomorrow.

This is default featured post 2 title

We are committed to become your long-term, trusted partner. Our priority is not only to provide professional services and solutions but to become your IT vendor dedicated to meet your needs today and support your growing business needs tomorrow.

This is default featured post 3 title

We are committed to become your long-term, trusted partner. Our priority is not only to provide professional services and solutions but to become your IT vendor dedicated to meet your needs today and support your growing business needs tomorrow.

This is default featured post 4 title

We are committed to become your long-term, trusted partner. Our priority is not only to provide professional services and solutions but to become your IT vendor dedicated to meet your needs today and support your growing business needs tomorrow.

পহেলা এপ্রিল : মুসলিম উম্মাহর শোকের দিন (এপ্রিল-ফুল)

ইউরোপে মুসলমানরা প্রবেশ করেছিলেন স্পেনের দরজা দিয়ে। ঐতিহাসিক রবার্ট ব্রিফল্ট দি ম্যাকিং অব হিউম্যানিটি গ্রন্থে মুসলমানদের এ প্রবেশকে অন্ধকার কক্ষের দরজা দিয়ে সূর্যের আলোর প্রবেশ বলে অভিহিত করেছেন। কেন এই তুলনা? রবার্ট ব্রিফল্টের জবাব হলো—‘যেহেতু স্পেনে মুসলমানদের আগমনের ফলে শুধু স্পেন নয়, বরং গোটা ইউরোপ মুক্তির পথ পেয়েছিল এজ অব ডার্কনেস তথা হাজার বছরের অন্ধকার থেকে। এজ অব ডার্কনেস সম্পর্কে রবার্ট ব্রিফল্টের মন্তব্য হলো—‘সেই সময় জীবন্ত অবস্থায় মানুষ অমানুষিকতার অধীন ছিল, মৃত্যুর পর অনন্ত নরকবাসের জন্য নির্ধারিত ছিল।’
স্পেন জয়ের ঘটনাটি ঘটে ৭১১ খ্রিস্টাব্দে। মুসলিম সেনাপতি তারেক বিন জিয়াদ ভূমধ্যসাগরের উত্তাল তরঙ্গমালা পাড়ি দিয়ে ১২ হাজার সৈন্য নিয়ে রাজা রডরিকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। রাজা রডারকের শাসনামল ছিল স্পেনের জন্যে এক দুঃস্বপ্নের কাল। জনগণ ছিল রডারিক ও গথ সম্প্রদায়ের উত্পীড়নের অসহায় শিকার। মরণের আগে স্বাধীনতা ভোগের কোনো আশা তাদের ছিল না। তারেকের অভিযানের ফলে মুক্তির পথ বেরুবে, এই ছিল সাধারণ মানুষের ভাবনা। তারা তারেক বিন জিয়াদকে আশীর্বাদ হিসেবে গ্রহণ করল ৩০ এপ্রিল, ৭১১ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার। রডারক পলায়নের সময় নিমজ্জিত হয়ে মারা যায় গুয়াডেল কুইভারের পানিতে। এরপর জনগণের সহযোগিতায় মুসলমানরা একে একে অধিকার করলেন মালাগা, গ্রানাডা, কর্ডোভা। অল্পদিনেই অধিকৃত হলো থিয়োডমির শাসিত সমগ্র আলজিরিয়াস। এদিকে আরেক সেনাপতি মুসা বিন নুসাইর পূর্বদিকের সমুদ্র পথ ধরে ৭১২ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে আবিষ্কার করেন সেভিল ও মেরিজ। তিনিও স্পেনের বিভিন্ন শহর অধিকার করে টলেডোতে গিয়ে মিলিত হলেন তারিকের সঙ্গে। তারপর তারা এগিয়ে যান আরাগনের দিকে। জয় করেন সারাগোসা, টারাগোনা, বার্সিলোনা এবং পিরেনিজ পর্বতমালা পর্যন্ত গোটা স্পেন।

 তারপর মুসা বিন নুসাইর পিরিনিজ পর্বতে দাঁড়িয়ে সমগ্র ইউরোপ জয়ের স্বপ্ন আঁকছিলেন আর স্পেন থেকে বিতাড়িত গথ সম্প্রদায়ের নেতারা পিরিনিজের ওপারে স্পেন পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা আঁটছিলেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন ইউরোপের খ্রিস্টান নেতারা। মুসলমানরা পিরেনিজ অতিক্রম করে ফ্রান্সের অনেক এলাকা জয় করেন। কিন্তু অ্যাকুইটেনের রাজধানী টুলুর যুদ্ধে ভয়াবহতার সম্মুখীন হয়ে তারা বুঝতে পারলেন যে, অসির পরিবর্তে মসির যুদ্ধের মাধ্যমেই ইউরোপ জয় করা সহজতর। এরপর মুসলমানদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হলো জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা ও বিস্তারে। তারা সেই যুদ্ধে সফল হন এবং প্রণিধানযোগ্য ইতিহাস তাদের বিজয়কে স্বীকৃতি দিয়েছে। অপরদিকে খ্রিস্টীয় শক্তি পুরনো পথ ধরেই হাঁটতে থাকে। ৭৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মে মাসারার যুদ্ধের পর থেকে স্পেনের ওপর তাদের নানামুখী আগ্রাসন ও সন্ত্রাস চলতে থাকে। ফলে স্পেনের নিরাপত্তা হয়ে পড়ে হুমকির সম্মুখীন। কিন্তু স্পেনের ভেতরে পচন ধরার প্রাথমিক সূত্রগুলো তৈরি হচ্ছিল ধীরে ধীরে। সমাজের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক বোধ ও সচেতনতা ধীরে ধীরে হারাতে শুরু করছিল।

রাজনৈতিক নেতৃবর্গ রাষ্ট্রের শত্রু-মিত্র বিভাজনের কাণ্ডজ্ঞান থেকে সরে আসছিল দূরে। এদিকে ইউরোপের আকাশে ক্রুসেডের গর্জন শোনা যাচ্ছে। স্পেনের বিরুদ্ধে যে আক্রোশ কাজ করছিল সেটাই তিনশ’ বছরে পরিপুষ্ট হয়ে ১০৯৭ সালে গোটা ইসলামী দুনিয়ার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে ভয়াবহ তুফানের মতো। ১০৯৮-এর জুনে এন্টিয়ক দখলের সাফল্যজনক কিন্তু নৃশংস ঘটনার মধ্য দিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠা এ তুফান ১২৫০ সালে অষ্টম ক্রুসেডের পরিসমাপ্তির পর স্পেনের দিকে মোড় ঘোরায়। স্পেনে তখন সামাজিক সংহতি ভঙ্গুর। খ্রিস্টান গোয়েন্দারা ইসলাম ধর্ম শিখে আলেম লেবাসে বিভিন্ন মসজিদে ইমামতিও করছে। তাদের কাজ ছিলো স্পেনের সমাজ জীবনকে অস্থিতিশীল ও শতচ্ছিন্ন করে তোলা।

১৪৬৯ সালে ফার্ডিনান্ড ও ইসাবেলা স্পেনে মুসলিম সভ্যতার অস্তিত্বকে গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য পরস্পর বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৪৮৩ সালে ফার্ডিনান্ড ও ইসাবেলা একটি শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী পাঠান মালাগা প্রদেশে।

যাদের প্রতি হুকুম ছিল শস্যক্ষেত্র জ্বালিয়ে দেয়া, জলপাই ও দ্রাক্ষা গাছ কেটে ফেলা, সমৃদ্ধিশালী গ্রাম ধ্বংস করা, গবাদিপশু তুলে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। সেই সময় মৃত্যু ঘটে স্পেনের শাসক আবুল হাসান আলীর। শাসক হন আজজাগাল। এক পর্যায়ে প্রাণরক্ষা ও নিরাপত্তার অঙ্গীকারের ওপর নগরীর লোকেরা আত্মসমর্পণ করলেও নগরী জয় করেই ফার্ডিনান্ড চালান গণহত্যা। দাস বানিয়ে ফেলেন জীবিত অধিবাসীদের। এরপর ফার্ডিনান্ড নতুন কোনো এলাকা বিজিত হলে বোয়াবদিলকে এর শাসক বানাবে বলে অঙ্গীকার করে। ৪ ডিসেম্বর ১৪৮৯। আক্রান্ত হয় বেজার নগরী। আজজাগাল দৃঢ়ভাবে শত্রুদের প্রতিহত করলেন। কিন্তু ফার্ডিনান্ডের কৌশলে খাদ্যাভাব ঘটে শহরে। ফলে শহরের অধিবাসী নিরাপত্তা ও প্রাণরক্ষার শর্তে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু তাদের ওপর চলে নৃশংস নির্মমতা। আজজাগাল রুখে দাঁড়ালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং পরে করা হয় আফ্রিকায় নির্বাসিত।

ডিসেম্বর ১৪৯১-এ গ্রানাডার আত্মসমর্পণের শর্ত নির্ধারিত হলো। বলা হলো : ‘ছোট-বড় সব মুসলমানের জীবনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া হবে। তাদের মুক্তভাবে ধর্ম-কর্ম করতে দেয়া হবে। তাদের মসজিদ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অক্ষত থাকবে। তাদের আদবকায়দা, আচার-ব্যবহার, রাজনীতি, ভাষা ও পোশাক-পরিচ্ছদ অব্যাহত থাকবে। তাদের নিজেদের আইনকানুন অনুযায়ী তাদের প্রশাসকরা তাদের শাসন করবেন ...।’ আত্মসমর্পণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেন মুসা বিন আকিল। তিনি বললেন, গ্রানাডাবাসী! এটা একটা প্রতারণা। আমাদের অঙ্গারে পরিণত করার জ্বালানি কাঠ হচ্ছে এ অঙ্গীকার। সুতরাং প্রতিরোধ! প্রতিরোধ!! কিন্তু গ্রানাডার দিন শেষ হয়ে আসছিল। ১৪৯২ সালে গ্রানাডাবাসী আত্মসমর্পণ করল।

রানী ইসাবেলা ও ফার্ডিনান্ডের মধ্যে শুরু হলো চুক্তি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা। চারদিকে চলছিল ভয়াবহ নির্যাতন।

পাইকারি হারে হত্যা বর্বরতার নির্মম শিকার হতে থাকলেন অসংখ্য মুসলমান। স্পেনের গ্রাম ও উপত্যকাগুলো পরিণত হয় মানুষের কসাইখানায়। যেসব মানুষ পর্বতগুহায় আশ্রয় নিয়েছিল, তাদেরও মেরে ফেলা হলো আগুনের ধোঁয়া দিয়ে। পহেলা এপ্রিল, ১৪৯২। ফার্ডিনান্ড ঘোষণা করলেন, যেসব মুসলমান গ্রানাডার মসজিদগুলোতে আশ্রয় নেবে, তারা নিরাপদ। লাখ লাখ মুসলমান আশ্রয় নিলেন মসজিদগুলোতে। ফার্ডিনান্ডের লোকেরা সবগুলো মসজিদে আগুন লাগিয়ে দিল। তিনদিন পর্যন্ত চললো হত্যার উত্সব। ফার্ডিনান্ড লাশপোড়া গন্ধে অভিভূত হয়ে হাসলেন। বললেন, হায় মুসলমান! তোমরা হলে এপ্রিলের বোকা (এপ্রিল ফুল)।

এই গণহত্যার পরও যেসব মুসলমান আন্দালুসিয়ায় রয়ে গিয়েছিলেন, তাদের ফার্ডিনান্ডের ছেলে তৃতীয় ফিলিপ সহায়-সম্বলহীন অবস্থায় সমুদ্রপথে নির্বাসিত করেন। তাদের সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখেরও বেশি। ইতিহাস বলে, তাদের মধ্যে খুব অল্পসংখ্যক লোকই জীবিত ছিলেন। বিপুলসংখ্যক মানুষ সমুদ্রের গহিন অতলে হারিয়ে যান চিরদিনের জন্য। এভাবেই মুসলিম আন্দালুসিয়া আধুনিক স্পেনের জন্ম দিয়ে ইতিহাসের দুঃখ হয়ে বেঁচে আছে।

সেই বেঁচে থাকা বোয়াবদিলদের বিরুদ্ধে ধিক্কাররূপে ফার্ডিনান্ডের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদরূপে।

 দুনিয়ার ইতিহাস কী আর কোনো আন্দালুসিয়ার নির্মম ট্রাজেডির সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল? সম্ভবত হয়নি এবং হতে চায় না কখনও। স্পেন হয়ে আছে মুসলিম উম্মাহর শোকের স্মারক। পহেলা এপ্রিল আসে সেই শোকের মাতম বুকে নিয়ে। শোকের এই হৃদয়ভাঙা প্রেক্ষাপটে মুসলিম জাহানের জনপদে জনপদে আন্দালুসিয়ার নির্মমতার কালো মেঘ আবারও ছায়া ফেলছে। এশিয়া-আফ্রিকাসহ সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে মুসলিম নামধারী একশ্রেণীর বিশ্বাসঘাতক বোয়াবদিল এবং ক্রুসেডীয় উন্মত্ততার প্রতিভূ ফার্ডিনান্ডদের যোগসাজশ। আন্দালুসিয়ার মুসলমানদের করুণ পরিণতি যেন ধেয়ে আসতে চায় এই মানচিত্রের আকাশেও। এ জন্য পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বিপর্যয়ের প্রলয়বাদ্য চলছে।
 
[তথ্যসূত্র : সৈয়দ আমীর আলী : দ্য স্পিরিট অব ইসলাম অ্যান্ড সারাসিল, সম্পাদনা-মাসউদ হাসয়ান, স্পেনে মুসলিম কীর্তি—এমদাদ আলী, ইউরোপে ইসলাম—তালিবুল হাশেমী, অনুবাদ—আমীনুর রশীদ।]

ফেসবুকের টাইমলাইন রিমুভ করে পুরাতন প্রোফাইলে ফিরে যান

:)ফেসবুকের টাইমলাইন কারো জন্যে দারুন ফ্যাশেনেবল আবার কারো জন্যে চরম বিরক্তিকর। বিশেষ করে টাইমলাইনে প্রোফাইলের তথ্য অন্য সবাই দেখতে পারায় টাইমলাইনের ওপরে অনেকেই বিরক্ত। বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুকের টাইমলাইন রিমুভ করা যায়, তবে আজকে যে পদ্ধতী টি জানাবো সেটা এ পর্যন্ত সবচেয়ে সহজ পদ্ধতী। মূলত এর জন্যে আপনাকে ফায়ারফক্সের একটা এড অন ইন্সটল করতে হবে।
প্রথমে TimeLineremove extention টি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন। লিঙ্ক এ ক্লিক করে আ্যলাও বাটনে ক্লিক করুন




ব্যাস হয়ে গেল। ইন্সটল করা হয়ে গেলে আপনার  ফেসবুক প্রোফাইল টি রিফ্রেশ করুন। দেখুন আপনার পুরাতন প্রোফাইল চলে এসেছে।
এড অন টি ডিজ্যাবেল করতে আপনার ফায়ারফক্সের Tools>Add ons এ গিয়ে ডিজ্যাবেল করে দিন, আবার টাইমলাইন ফিরে পাবেন।

অজানা ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ

অজানা ইংরেজি শব্দের উপর ডাবল ক্লিক করেই জেনে নিন বাংলা অর্থ (মজিলা-ফায়ারফক্স ব্রাউজারের জন্য)

ইন্টারনেটে আধিকাংশ ওয়েবসাইট-ই সাধারনত ইংরেজি ভাষায় হয়ে থাকে। অনেক অজানা শব্দের কারনে সবকিছুর অর্থ আমরা সবসময় বুঝে উঠতে পারি না। অনেক শব্দের অর্থ খুজার জন্য আমাদের ডিকশনারির দ্বারস্থ হতে হয়। এই সমস্যাটির সমাধান হিসেবে বিডিওয়ার্ড ডেভেলপমেন্ট টিম মজিলা-ফায়ারফক্স ওয়েব ব্রাউজারের জন্য একটি এক্সটেনশন তৈরি করেছে। যারা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য মজিলা-ফায়ারফক্স ব্যবহার করে থাকেন তারা বিডিওয়ার্ডের এক্সটেনশনটি ব্যবহার করতে পারেন। এক্সটেনশটি আপনার ব্রাউজারে ইনস্টল করে নিন। তারপর ব্রাউজার রিস্টার্ট দিয়ে যেকোন ইংরেজি ওয়েবসাইটে (যেমন ডেইলিস্টার, উইকিপিডিয়া) যান। তারপর যেকোন অজানা ইংরেজি শব্দের উপর পরপর দুইবার ক্লিক(ডাবল ক্লিক) করলেই আপনি পেয়ে যাবেন সে শব্দের বাংলা অর্থ।
এক্সটেনশনটি ইনস্টল করে নিতে পারেন নিচের লিঙ্কে ক্লিক করেঃ

 

Deactivate করুন Facebook একাউন্ট

Deactivate করুন Facebook একাউন্ট

একাউন্ট বন্ধ করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আগে Deactivate করে নিন আপনার Facebook একাউন্টটি ।
:)১. প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে Settings > Account Settings > Deactivate Account তে যান । অথবা এই লিংকে যান ।
২. এবার আপনাকে একটি ফরম দ্বারা জিজ্ঞাস করা হবে কেন আপনি একাউন্ট ডিএ্যাকটিভেট করতে চান । ফরমটি পূরন করে Deactivate My account চাপুন ।
এবার আপনার একাউন্টটি Deactivate হয়ে যাবে । তবে এরপরও হয়ত আপনি ট্যাগ , ইনভাইটেশন ইত্যাদি পেতে থাকবেন । এগুলো থেকে মুক্ত হতে একেবারে ডিলেট করে দিন আপনার এ্যাকাউন্টটি ।

Delete করুন Facebook একাউন্ট

এবার ফেসবুকে লগইন করা অবস্থায় এই লিংকটিতে যান । এবং এবার একটি নোটিশ পাবেন যে , আপনার এ্যাকাউন্টটি ডিলেট করে দিলে আপনার ছবি , মেসেজ সহ সকল ডাটা মুছে যাবে যা আপনি আর কখনওই ফিরৎ পাবেননা । রাজি থাকলে Submit বাটানটি চেপে চিরদিনের জন্য ডিলেট করে দিন আপনার ফেসবুক একাউন্ট ।
সতর্কতা: আপনার এ্যাকাউন্টটি ডিএ্যাকটিভেট বা ডিলেট করে দিলে আপনার ছবি , মেসেজ সহ সকল ডাটা মুছে যাবে যা আপনি আর কখনওই ফিরৎ পাবেননা । তাই এগুলো ফলো করার আগে নিজে নিশ্চিত হয়ে নিন যে ভবিষ্যতে এগুলোর দরকর হবে না ।

মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিলগেইটস এর আত্মজীবনী

ছেলেবেলাঃ
জন্ম ১৯৫৫। বিল তার প্রথম কম্পিউটার দেখেন বাড়ীর কাছেই ছোট্ট একটি কম্পিউটার ফার্মে। রাতের বেলা তিনি আর তার বাল্য বন্ধ পল অ্যালান ঐ কম্পিউটার ফার্মে কাজ করতেন। তারা দুজনে মিলে ট্রাফিক সিগনাল কন্ট্রোলের একটি সফটওয়্যার বানান এবং পরবর্তীতে দুজন একত্রেই মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন। কিছু দিন আগেও বিল গেইট্স যখন বিশ্বের সেরা ধনী নির্বাচিত হন তখন পল এ্যালান ছিলেন বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্পদশালী ব্যক্তিত্ব।
শিক্ষাঃ হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক। কিন্তু তিনি তার শিক্ষা জীবন সম্পুর্ণ করেননি। তিনি হার্ভাড থেকে চলে আসার আগে তার এক শিক্ষককে বলেছিলেন, তিনি তিরিশ পেরোনোর আগেই মিলিয়নিয়ার হবেন। কিন্তু তার কথাটি ঠিক ছিল না। কারণ, তিনি মিলিয়নিয়ার নয় বরং বিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনঃ
বিল গেইটস ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক ক্যাথরিন ও রণ গেইটস। তার সহধর্মী মেলিন্ডা গেইটস এককালের সহকর্মী।
মোট সম্পদঃ
১০০ বিলিয়নের কম এবং ১৮ বিলিয়নের বেশী।
লেখালেখিঃ
  • Business @ the Speed of Thought,
  • The Road Ahead
মাইলস্টোনঃ
  • মাইক্রোসফটের প্রথম প্রোডাকশন হল ডস (ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম) যা বিল ৫০ ডলারের বিনিময়ে কিনে নিয়েছিল একটি অখ্যাত কোম্পানীর কাছ থেকে এবং কুইক এন্ড ডারটি ওস(কিউডস) নাম বদলে একটু সুন্দর ও সহজ করে সেটি বিক্রি করে দিয়ে ছিল আইবিএম এর কাছে।
  • উইন্ডোজ ৩.১, যা মাইক্রোসফট অ্যাপলের কাছ থেকে দেখে তৈরী করে। আর অ্যাপল সেটি নিয়েছিল জেরক্সএর কাছ থেকে!!
  • উইন্ডোজ ৯৫, ম্যাকওসের সরাসরি নকল। কিন্তু স্ট্যাবিলিটি ও ক্ষমতাতে তার ধারে কাছেও নেই।
  • উইন্ডোজ এনটি- ডিজিট্যাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশনের ভিএমএস নামক একটি সিস্টেমকে মাইক্রোসফট কিনে নেয় এবং পরবর্তীতে উক্ত সিস্টেমের প্রোগ্রামারদেরও নিজ সংস্থায় নিয়ে যায়। তারাই উইন্ডোজ এনটি ডেভেলপ করে দেয়।
  • এমএস ওয়ার্ড নিয়ে যাদের এত খুশি তাদের আরও আনন্দ পাবেন এটি জেনে যে, এটি চুরি করা হয়েছিল ওয়ার্ডপারফেক্ট ও অ্যামিপ্রো হতে। বর্তমানে কোরেল কোম্পানী প্রায় হারিয়ে যাওয়া এই ওয়ার্ডপারফেক্ট নিয়ে নানা গবেষণা করে এর উন্নত সংস্করন বের করলেও তা খুব একটা নাম করতে পারেনি। একই ভাবে মাইক্রোসফট তার প্রায় প্রতিটি বিখ্যাত সফট্ওয়্যার কখন নকল করে (যেমন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার নেটস্কেপ নেভিগেটর হতে নকল করে), কখনও উৎপাদনকারী সংন্থাকে কিনে নিয়ে আবার কখনও উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে ধ্বংস বা দেউলিয়ে করে কিনে নিয়েছে। সম্ভবতঃ একারণেই বিলগেইটসের মাইক্রোসফট সফটওয়্যার জায়ান্ট বা সফটওয়্যারে দৈত্য হিসেবে খ্যাত।

অ্যাপলের আসল কারিগর – স্টিভ ওজনিয়্যাক

অসাধারণ প্রতিভাধর কম্পিউটার বৈজ্ঞানিক স্টিভ ওজনিয়্যাকের জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ার সানজোসে শহরে। তার উদ্ভাবিত কম্পিউটার ‘‘অ্যাপল-১’’ সত্তর দশকে চরম জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ১৯৭৬ সালে স্টিভ জবস এই ওজনিয়্যাকের সাথেই জন্ম দেন অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি। তাঁদের উদ্ভাবিত ‘‘অ্যাপল-২’’ ও সত্তর-আশির দশকে কম্পিউটারপ্রেমীদের মাতিয়ে রেখেছিল। ১৯৮৫ সালে ওজনিয়্যাক অ্যাপল ছেড়ে চলে যান এবং আর কখনও ফিরে আসেননি।
স্টিভ ওজনিয়্যাকের ডাকনাম ‘‘ওজ’’। ওজের জাদুকর গল্পে অনুকরণেই তার এই নামকরণ। তিনি আমেরিকার বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে (বার্কলে) পড়তে গেলেন ১৯৭৫ সালে। কিন্তু অল্প কিছু পড়েই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন এবং ছোটখাট ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বানাতে শুরু করেন। অবশ্য তার অধিকাংশ আবিষ্কারের উদ্দেশ্যই ছিল সেই সময়ের পাউলো-আলতোর হোম-ব্রিউ কম্পিউটার ক্লাবের সদস্যদের একটুখানি মুগ্ধ করা। এই সব প্রজেক্টের তেমন কোন ভবিষ্যৎও ছিল না বলা চলে।
আমেরিকার বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে পড়তে গেলেন ১৯৭৫ সালে কিন্তু অল্প কিছু পড়েই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। পরে অবশ্য ১৯৮৬ সালে আবার এখানে ফিরে এসে ব্যাচেলর ডিগ্রী নেন। কিন্তু তাও নিজের নামে নয়- রকি ক্লার্ক ছদ্মনামে
বন্ধু জবসের সাথে মিলে ওজ ঠিক করলেন তারা একটি কম্পিউটার তৈরী করবেন এবং বাজারে বিক্রিও করবেন। ব্যস যেমন ভাবা তেমনই কাজ। নিজের এইচপি সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ও স্টিভ জবসের ভক্সওয়াগনটি বিক্রি করে ১৩০০ ডলার পাওয়া গেল এবং সেই টাকায় তাঁরা দুজন রাত-দিন খাটাখাটি করে তৈরী করলেন কাঙ্খিত সেই কম্পিউটারের প্রটোটাইপ বা নমুনা। এটি তৈরী হলো জবসের বাসার গ্যারেজে। তাদের প্রথম এই কম্পিউটারটি ছিল সেই সময়ের হিসেবে অসাধারণ একটি যন্ত্র।
তখন বাজারে সাধারণতঃ যে কম্পিউটার পাওয়া যেত তার নাম ছিল আল্টিয়ার-৮৮০০। কিন্তু এর ছিল না কোন ডিসপ্লে কিংবা সত্যিকারের স্টোরেজ ব্যবস্থা। এমনকি আউটপুটও আসতো লাইট ফ্লাশিং এর মাধ্যমে। এই ধরনের কম্পিউটার শখের ইলেকট্রনিক কাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে কিন্তু সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য অবশ্যই নয়।
অন্যদিকে ওজের কম্পিউটার ‘‘অ্যাপল-১’’ ছিল সবদিক থেকেই দারুন স্বয়ং সম্পূর্ণ। এতেছিল ২৫ ডলারের একটি মাইক্রোপ্রসেসর যার নাম মস ৬৫০২ এবং স্থায়ী মেমরী বা রম (ROM)।
১৯৭৬ সালের পহেলা এপ্রিলে ওজ তার বন্ধু জবসের সাথে গঠন করলেন অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানী। এর জন্য তিনি তার হিউলেট-প্যাকার্ডের চাকুরীও ছেড়ে দিলেন এবং অ্যাপলে যুক্ত হলেন গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার সহকারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে।
এবার তিনি তার পুরো সময় এবং মেধা ব্যয় করলেন ‘‘অ্যাপল-১’’ এর উন্নয়নে। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি উদ্ভাবন করলেন ‘‘অ্যাপল-২’’ যাতে ছিল উন্নত রেজুলেশনের ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা যেখানে অন্যান্য কম্পিউটার শুধুমাত্র লেখা প্রদর্শন করেই ক্ষান্ত ছিল। তিনি এতে একটি ফ্লপি ডিস্ক কন্ট্রোলার যুক্ত করলেন এবং সেই সাথে রাল্ডি উইগিংটনকে (ম্যাকরাইট সফটওয়্যারের জনক, অ্যাপল কোম্পানীর প্রথম কর্মী) নিয়ে লিখে ফেলেন একটি আদর্শ ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম। এভাবে হার্ডওয়্যার যন্ত্রাংশ ডিজাইনের পাশাপাশি ওজ নিজেই অ্যাপলেন বেশির ভাগ সফটওয়ারও লিখে ফেলতে লাগলেন। তৈরী করলেন ক্যালভিন নামের একটি উন্নত প্রোগ্রামিং ভাষার ইন্টাপ্রেটর, সুইট-১৬ নামের ১৬-বিট প্রসেসরের ইন্সট্রাকসন সেট, ব্রেকআইট নামের একটি কম্পিউটার গেম ইত্যাদি। এই গেমটি তৈরী করতে গিয়েই তিনি বুঝতে পারলেন এখন সময় এসেছে কম্পিউটারের সাথে স্পিকার যুক্ত করার, যাতে এটি শব্দও করতে পারে।
১৯৮০ সালে ওজ মিলিয়নিয়ার বনে গেলেন। তাঁকেই অ্যাপল কম্পিউটারের গডফাদার বলা হতো। কিন্তু এর পরই ঘটলো অঘটন। ‘‘অ্যাপল-২’’ এর পর ‘‘অ্যাপল-৩’’ তেমন বাজার ধরতে পারলো না এবং পাশাপাশি আরেক লিসা প্রকল্পেরও ধস নামালো। ১৯৮১ তে ওজ সামত্মাক্রুজ স্কাই পার্কে একটি বিমান দূর্ঘটনায় কিছুদিনের জন্য তাঁর স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। কিভাবে এই দূর্ঘটনাটি ঘটলো এবং কোথায় এইসব কোন তথ্যই তাঁর মনে রইলো না। তাঁর বান্ধবী সিন্ডি ক্লার্কের কাছে পর্যন্ত জানতে চাইলেন কি ঘটেছিল সেইদিন। যখন সিন্ডি আস্তে আস্তে সব খুলে বলল ওজের স্মৃতিশক্তি ফিরে আসতে লাগলো। যদিও ওজের কম্পিউটার গেমের আসক্তিও স্মৃতিশক্তি ফেরাতে সহায়তা করে অনেকটাই।
সেই প্লেন দূর্ঘটনায় ওজের এই দুরবস্থা হয়েছিল তার নাম ছিল ‘‘বীচ বোনানজা’’। সান্তাক্রজের স্কাইপার্ক থেকে উড়তে গিয়ে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু সুস্থ্য হওয়ার পর ওজনিয়্যাক আর অ্যাপলে ফিরে গেলেন না। বরং তিনি তাঁর বান্ধবী ক্লার্ককে বিয়ে করলেন। যাকে তিনি মজা করে ‘‘সুপার ওম্যান’’ বলে ডাকতেন। কারণ, সুপারওম্যানের হারানো স্মৃতিশক্তি (ক্রিপনোইটের আঘাতে) ফেরাতে সুপার ওম্যানের ভূমিকাই বেশি। যাইহোক, অ্যাপলে না গিয়ে তিনি বরং তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি বার্কলেতে ফিরে এলেন এবং ১৯৮৭ সালে তার স্নাতক পড়াশুনা শেষ করলেন। কিন্তু তাও নিজের নামে নয় রকি ক্লার্ক ছদ্মনামে। রকি ছিল তাঁর কুকুরের নাম আর ক্লার্ক হলো বউ এর শেষ নাম। এর মধ্যে যদিও তিনি একবার অ্যাপলে ফিরে এসেছিলেন কিন্তু সামান্য এক ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে বেশি বড় কোন পদ নিতে চাইলেন না। বরং সহকর্মীদের উৎসাহ দিতেই তার বেশি ভাল লাগতো।
স্টিভ ওজনিয়্যাক আমেরিকার বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে থেকে অবশেষে ডিগ্রী নিলেন তাঁর প্রিয় কুকুর রকির ছদ্মনামে
এবার তিনি আরেক নতুন কোম্পানী তৈরী করেন যার নাম ‘‘ক্লাউড-৯’’ এর কাজ ছিল ইউনিভার্সাল রিমোট কন্ট্রোল তৈরী করা। যা দিয়ে নানা রকম যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ১৯৮৭ তে এটি তৈরী হলো। এরপর তিনি প্রকৌশলী কাজকর্মও ছেড়ে দিলেন। সব বাদ দিয়ে তিনি স্কুলের ক্লাশ ফাইভের বাচ্চাদের পড়াতে শুরু করলেন। শুধু তাই নয়, নিজের সমস্ত অর্থই তিনি দান করে দিলেন স্থানীয় একটি স্কুলে (যেখানে তিনি ছোটবেলায় পড়েছিলেন) যার নাম ছিল বাটস গ্যাটোস ডিস্ট্রিক্ট স্কুল। এর পাশাপাশি তৈরী করলেন ইউনুসন (Unuson-Unite us In Song) নামের একটি দাতব্য সংস্থা যার মাধ্যমে আমেরিকার বড় বড় দুটি উৎসব আয়োজন করলেন।
সানজোসের বাচ্চাদের একটি জাদুঘরেও তিনি বহু অর্থ দান করলেন এবং এর উন্নয়নে কাজ করে সকলের মন জয় করে নিলেন, বিশেষ করে বাচ্চাদের। সেই জাদুঘরের সামনের রাস্তাটির নামকরণ করা হলো তাঁরই নামানুসারে ওজ ওয়ে (Woz Way), আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান তাকে প্রযুক্তিতে অবদান রাখার জন্য ন্যাশনাল মেডল অব টেকনোলজি প্রদান করলেন। ১৯৯৭ তে কম্পিউটার ইতিহাসের জাদুঘর তাঁকে ফেলো হিসেবে অন্তর্ভূক্ত নিল। ২০০০ সালে আমেরিকার জাতীয় উদ্ভাবকদের লিস্টিতে যুক্ত করা হলো।
২০০২ সালে তিনি আবার তথৎ প্রযুক্তির মাঝে ফিরে এলে এবং হুইলস অব জিউস বা সংক্ষেপে ওজ (Woz) প্রকল্পের শুরু করলেন তারবিহীন গ্লোবাল পজিসনিং সিস্টেমের উদ্ভাবন করা। একই বছর তিনি ডেনগার ইনকোর্পোরেটের বোর্ড অব ডিরেক্টরদের একজন হিসেবে যোগ দিলেন এবং টি-মোবাইলেন জন্য হিপটপ নামের একটি প্রযুক্তি তৈরী করতে লাগলেন।
২০০৪ সালে ড. টম মিলারের উদ্যোগে ওজকে নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করলো কম্পিউটার জগতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য। ২০০৫ সালে ওজ আরো দুটি ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন মিশিগান ও ফ্লোরিডার দুটি নামী বিশ্ববিদ্যালয় হতে। পাশাপাশি বাচ্চাদের স্কুলের জন্য ছোটখাট কাজে ব্যস্ত রইলেন।একই বছর তার হুইলস অব জিউস প্রকল্প বন্ধ করে দিয়ে নতুন এক প্রকল্পের শুরু করলেন যার নাম অ্যাকুইয়ার টেকনোলজি। এর কাজ ছিল বিভিন্ন প্রযুক্তির কোম্পানী হতে টেকনোলজি অধিগ্রহণ এবং সেই টেকনালজির উন্নয়ন সাধন করা।
ওজের আত্মজীবনী প্রকাশ করা হলো ২০০৬ সালে যার নাম ছিল ‘‘আইওজ: ফ্রম কম্পিউটার গিক টু কাল্ট আইকন-হাউ সাই ইনভেন্টেড পার্সনাল কম্পিউটার, কো-ফাউন্ডেড অ্যাপল এন্ড হ্যাড ফান ডুইং ইট (iWoz: From Computer Geek to Cult Icon: How I Invented the Personal Computer, Co-Founded Apple, and Had Fun Doing It.)’’
এখন ওজ ব্যস্ত আছেন পোলো খেলা নিয়ে। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া সমুদ্রতটের স্যাগওয়ে পোলো টীমের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তার দলে আছেন সিলিকন ভ্যালীর কম্পিউটার জগতের আরও অনেক ভগ্নহৃদয় প্রযুক্তিবিদ।
ব্যক্তিজীবনে ওজ একজন মজার মানুষ। সেই সময় তিনি তাঁর বাসা হতে ডায়াল-এ-জোক নামের মজার এক ফোন সার্ভিস চালু করেন। এই কাজ করতে গিয়েই তাঁর পরিচয় হয় একটি মেয়ের সাথে এবং পরবর্তীতে তাকেই তিনি বিয়ে করেন।
দুষ্ট কাজেও তিনি ছিলেন ওস্তাদ ব্যক্তি। ক্যাসিনোর ছেড়া স্লিপ সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে বই বানিয়ে আবার বই স্লিপ কেটে দর্শনার্থীর কাছে বিক্রি করা ছিল তাঁর প্রিয় কাজের মধ্যে একটি। এরকম করতে গিয়ে লাস ভেগাসের এক ক্যাসিনোতে একবার ধরাও পড়তে হয় তাঁকে। তিনি খুব ভাল গিটারও বাজাতে পারেন। তার প্রিয় একটি উক্তি হলো ‘‘এমন কম্পিউটারকে কখনও বিশ্বাস করো না, যা তুমি জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলতে পারো না।’’ তার এই বিখ্যাত উক্তি পরবর্তীতে ব্যবহৃত হয় সিভিলাইজেশন-৪ নামের একটি কম্পিউটার গেমে।
ওজকে নিয়েও বিভিন্ন সময়ে নির্মিত হয়েছে ডকুড্রামা ও কার্টুন চিত্র। এদের মধ্যে ‘‘ক্যাম্প নাওহয়্যার’’ চরিত্রে দেখা যায় ওজের নাম নিয়ে এক ব্যক্তি বাচ্চাদের ক্যাম্পে নিয়ে পালায়। ‘‘ইউরেকা-৭’’ কার্টুন চিত্রে দেখা যায় এক হ্যাকারের নাম ওজ। এমনকি লার্স নামের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীর গান ‘‘আহাব’’ এ ওজের কথা শুনতে পাওয়া যায়। এছাড়া ‘‘পাইরেটস অব সিলিকন ভ্যালী’’ ও ‘‘ট্রিয়াম্পফ অব নেরডস’’ ডকুড্রামাতেও ওজের ছদ্ম উপস্থিতি দেখা যায়।
‘‘এমন কম্পিউটারকে কখনও বিশ্বাস করো না, যা তুমি জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলতে পারো না।’’ তাঁর এই বিখ্যাত উক্তি পরবর্তীতে ব্যবহৃত হয় সিভিলাইজেশন-৪ নামের একটি কম্পিউটার গেমে। ওজনিয়্যাক এখন কম্পিউটারের চেয়ে ছোটখাট স্কুলের কাজ করতেই বেশি ভালবাসেন
প্রতিভাবান এই কম্পিউটার বৈজ্ঞানিক ওজ তাঁর প্রথম জীবনে পারসনাল কম্পিউটারের উন্নয়নের জন্য অবদান রাখেন কিন্তু পরবর্তীতে কম্পিউটারে কাছ থেকে সরে এসে নিয়েজিত হন সমাজ কল্যাণে এবং নিলোর্ভ এই ব্যক্তি এখন ছোট ছোট কাজের মাঝেই আনন্দ খুঁজে পান।

আলবার্ট আইনস্টাইনের পূর্ণ জীবন

আলবার্ট আইনস্টাইন (জার্মান ভাষায়: Albert Einstein আল্‌বেয়াট্‌ আয়ন্‌শ্‌টায়ন্‌) (১৪ই মার্চ, ১৮৭৯ - ১৮ই এপ্রিল, ১৯৫৫) একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। আলবার্ট আইনস্টাইন জন্মসূত্রে ছিলেন জার্মান । তিনি সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ববিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের জনক হিসাবে এবং আলোর কণাধর্মের ব্যাপারে সাহসী অনুকল্পের (Hypothesis) জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনিই সম্ভবত বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে পরিচিতিপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী।আইনস্টাইন ১৮৭৯ সালের (ঊনবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল'র মৃত্যুর বছর) ১৮ই মার্চ উল্‌ম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব কাটে মিউনিখ-এ। সেখানে তাঁদের পরিবারের একটা ছোট্ট তাড়িৎ যন্ত্রাদি নির্মাণের দোকান ছিল। তিন বছর বয়সের পর থেকে প্রথম কথা বলা শুরু করলেও অল্পবয়সেই তাঁর মধ্যে প্রকৃতির প্রতি অপার কৌতুহল এবং বিভিন্ন জটিল গাণিতিক ধারণাসমূহ বোঝার ক্ষেত্রে বিশেষ পারঙ্গমতা পরিলক্ষিত হয়। ১২ বছর বয়সে তিনি নিজে নিজেই ইউক্লিডীয় জ্যামিতি আয়ত্ত করেন।আইনস্টাইন মিউনিখের বিদ্যালয়ের একঘেয়ে পড়াশুনা এবং নিয়মকানুনের প্রতি কড়াকড়িকে ঘৃণা করতেন। বারম্বার ব্যবসায়ে ব্যার্থতার দরুণ জার্মানি ছেড়ে তাঁদের পরিবার ইতালিমিলানে পাড়ি জমায়। আইনস্টাইনের তখন ১৫ বছর বয়স। এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে তিনি বিদ্যালয়ের পাঠ পরিত্যাগ করেন। মিলানে একটি বছর তিনি পরিবারের সাথে কাটিয়ে দেন। ততদিনে 'কঠিন এই দুনিয়ায় নিজের পথ নিজেকেই দেখতে হবে' কথাটি তিনি অনুধাবণ করতে শিখে গেছেন, আর তাই সুইজারল্যান্ড'র আরাও (Aarau)-তে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা সমাপ্ত করে তিনি জুরিখ-এ অবস্থিত সুইস ফেডেরাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজি (Swiss Federal Institute of Technology)-তে ভর্তি হন। কিন্তু ওখানকার পাঠদান পদ্ধতি তাঁর ভালো লাগতো না। প্রায়শই তাই ক্লাস ফাঁকি দিয়ে তিনি ওই সময়টাতে পদার্থবিজ্ঞানে নিজের খেয়ালমত বিষয়গুলি পড়তেন নতুবা তাঁর সাধের ভায়োলিনটি বাজাতেন। জনৈক সমপাঠীর ক্লাস-লেকচার পড়ে পড়েই তিনি পরীক্ষাগুলি উৎরে যেতেন। এমনি করেই ১৯০০ সালে তিনি স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। তাঁর সম্পর্কে অধ্যাপকগণের ধারণা তেমন উঁচু ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন পদে চাকরির জন্য আইনস্টানকে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারেও তাঁরা রাজি ছিলেন না।দুই বছর তিনি টিউটর এবং বদলি শিক্ষক(Substitute teacher) হিসাবে কাজ করেন। ১৯০২ সালে তিনি বার্নে অবস্থিত সুইস পেটেন্ট কার্যালয়ে পরীক্ষকের কাজ যোগাড় করতে সমর্থ হন। ১৯০৩ সালে তিনি বহুকৌশল(Polytechnique) শিক্ষালয়ের এককালীন সহপাঠিনী মিলেভা মেরিক এর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুটি পুত্রসন্তান হয়। কিন্তু পরবর্তিতে তাঁদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে এবং আইনস্টাইন পুনরায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

এবার গুগল প্লাস দিয়ে শেয়ার করুন একসাথে অনেক গুলো সোসাল নেটওয়ার্কে

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের সাইট বা সোসাল মিডিয়া সাইট গুলো বেশ জনপ্রিয় এবং ওয়েবমাস্টারগন এই সোসাল সাইট গুলোকে তাদের সাইটের/ব্লগের ট্রাফিকের অন্যতম উৎস হিসাবে মনে করে।গুগল প্লাস এমনি একটা নেটওয়ার্ক যেখানে প্রতিনিয়ত গ্রাহক বেরে চলেছে।আমাদের সকলেরই হয়ত একের অধিক সোসাল মিডিয়া সাইটে এ্যকাউন্ট আছে।যেমন আমার গুগল,ফেসবুক,স্টাম্বলাপন ইত্যাদি সাইটে এ্যকাউন্ট আছে।যারা ব্লগিং করেন তাদের বিভিন্ন সাইটে কন্টেন্ট শেয়ার করার জন্য বেশ ভাল সময় ব্যায় করতে হয়।কিন্তু আপনি গুগল প্লাস এবং গুগল ক্রম ব্যাবহার করে ,গুগল প্লাস এর যে কোন স্ট্যাটাস শেয়ার করতে পারেন অনেক গুলো নেটওয়ার্কে।চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক।
এজন্য আমরা গুগল ক্রমে একটি নতুন অ্যাড অন যুক্ত করে নিব।এটা হল

Extended Share for Google Plus

১।আপনার গুগল ক্রমের ব্রাউজার অপেন করুন
২।এই অ্যাড অন টি যুক্ত করে নিন।
৩। ক্লিক করুন “Add to Chrome.”


৪। কনফার্ম করুন ইন্সটল

৫।ইন্সটলের পরে আপনি রিডাইরেক্ট হবেন একটা নতুন পেজে

৬।এখানে আপনি অনেক সোসাল নেটওয়ার্ক আইকন পাবেন ।আপনি যে গুলতে শেয়ার করতে চান সে গুল সিলেক্ট করুন।




৭।কাস্টমাইয করে নিতে পারেন

৮।ক্লিক করুন “Close” 

আপনার কাজ শেষ হয়েছে।এখন গুগল প্লাসে নতুন একটা স্ট্যাটাস দেন।পোস্টের নিচে ড্রপ ডাউনে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন আপনি যে সোসাল নেটওইয়ার্ক গুলো যুক্ত করেছিলেন তা দেখাবে।


যদি ফেসবুকে শেয়ার করতে চান তাহলে ফেসবুক আইকনে ক্লিক করুন এবং তা ফেসবুকে শেয়ার হয়ে যাবে।


এভাবে আপনি আপনার একটা স্ট্যাটাস অনেক গুলো নেটওয়ার্কে শেয়ার করতে পারবেন।

সীমের নম্বর বের করতে পারবেন এক নিমিষে।

বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানী কলচার্জের উপর একটু ছাড় প্রদান করে দিনের বিভিন্ন সময়ে, এক অপারেটরের ছাড়ের সাথে অন্য অপারেটরের ছাড়ের সময় মেলেনা তাই বাধ্য হয়ে আমাদের প্রায় সব কোম্পানীর মোবাইল সীম ব্যবহার করতে হয়। এবং নতুন সীম ক্রয়ে বিশেষ সুবিধা যেমন টক টাইম, এস এম এস, ইন্টারনেট ইত্যাদি ফ্রি পেতে আমাদের অনেক সময় অনিচ্ছা সত্তেও নতুন সীম কিনতে হয়। এমনি ভাবে আমাদের আনেকের কাছে 30 টা পর্যন্ত সীম জমা হয়। কিন্তু সমস্যা হল এক জায়গায়, কোন সীমের নাম্বার যে কত তা মনে রাখা সম্ভব হয় না তাই আজ আমি আপনাদের সাথে এমন এক টিপস শেয়ার করব যা দিয়ে আপনি যে কোন সময় যে কোন অপারেটরের (gp, robi, blnk, airtel) সীমের নম্বর বের করতে পারবেন এক নিমিষে। যে ভাবে করবেন-
১। GP—*111*8*2# (prepaid)
২। GP—*111*8*3# (postpaid)
৩। ROBI—*140*2*4#
৪। BANGLALINK—*666# or,*666*8*2#
৫। AIRTEL—*121*6*3#
মনে রাখবেন সকল অপারেটরের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ একদম ফ্রি। তাহলে যারা জানেন না তারা এখুনি ট্রাই করুন।

Remove the Register Photoshop Prompt




আজ আমি আপনাদের কে দেখাব কিভাবে Windows 7  এর Registrater Photoshop Prompt থেকে মক্তি পাওয়া যায় ।

How to Remove the Register Photoshop Nag:

প্রথমে আপনার কম্পিঊটার চাল করুন এবং নিচের ধাপগুলো অনুস্বরণ করেন ।
  1. Click Start > All Programs and locate Adobe Photoshop CS2
  2. Right Click Adobe Photoshop 2 and select the option from the menu to Run as administrator:
Note: After clicking Run as administrator, you may be prompted by (UAC) User Account Control to allow the action.




  1. Photoshop CS2 should now launch. When the prompt to Register Photoshop appears, Click the Do Not Register Button and then quit:



  1. The next time you launch Adobe Photoshop normally, you will not be prompted to register.
আশা করি আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । সবাই ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেজ ।।

Loading
Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Flying Twitter Bird Widget By ICT Sparkle